ডেঙ্গু মোকাবিলায় পরামর্শ

ডেঙ্গু মোকাবিলায় পরামর্শ

ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থেকে পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ওপর নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। ডেঙ্গুর প্রকোপ মোকাবিলায় বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডেঙ্গুর লক্ষণ

শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি নিম্নের ২টি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু সন্দেহে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বার বার বমি করার প্রবণতা, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, শরীরে র‌্যাশ ওঠা।

তীব্র ডেঙ্গুর লক্ষণ (ডেঙ্গু হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিন পর হতে পারে)

শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া, তীব্র পেট ব্যথা, ক্রমাগত বমি করা, বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া, শরীরে অবসাদ বোধ করা, অস্থিরতা বোধ করা।

ব্যক্তিগত সতর্কতা

১. ঘরের বা অফিসের বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে।
২. মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে পারে এমন পোশাক পরিধান করতে হবে।

কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি

১. পরিবার, প্রতিবেশী এবং কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
২. পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।

মশার প্রজনন রোধে নিয়মিত পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার তদারকি প্রয়োজন। এসময় অবশ্যই নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হবে:

১. ঘরে এবং আশেপাশে যেকোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
২. ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
৩. মনে রাখতে হবে ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
৪. পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে।
৫. দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।
৬. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন